ভ্রমণের মাধ্যমে শিখি, ইতিহাস-ঐতিহ্যের ঠিকানা দেখি
প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী আয়োজিত হতে যাচ্ছে জাতীয় পর্যটন অলিম্পিয়াড— যেখানে জ্ঞান, ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ভ্রমণের প্রতি ভালোবাসা একসাথে মিলিত হবে এক অনন্য অভিজ্ঞতায়। এই অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে তুমি জানতে পারবে বাংলাদেশের পর্যটন খাতের প্রকৃত চিত্র, এর সম্ভাবনা, বৈচিত্র্য এবং বাস্তব চ্যালেঞ্জগুলো। শুধু জানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়—তুমি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে পারবে তোমার মাতৃভূমির অপরূপ সৌন্দর্য, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নতুনভাবে। একইসঙ্গে, বর্তমান সীমাবদ্ধতা ও সমস্যাগুলোর গঠনমূলক সমাধান ভাবতে পারবে তুমি নিজেই।
এই অলিম্পিয়াড কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটি তোমার সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাসচেতনা ও সাংস্কৃতিক বোধের বিকাশের এক অসাধারণ সুযোগ। এখানে অংশগ্রহণ করে তুমি নিজেকে প্রস্তুত করতে পারো একজন সচেতন, জ্ঞানপিপাসু এবং দায়িত্বশীল ভ্রমণপ্রেমী হিসেবে।
আর সবচেয়ে দারুণ ব্যাপার হলো—এই অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে তুমি জিতে নিতে পারো ৩ লক্ষাধিক টাকার পুরস্কার! --- আকর্ষণীয় গিফট আইটেম, অলিম্পিয়াড টি-শার্ট, মেডেল এবং সার্টিফিকেট। এছাড়াও থাকছে বিভিন্ন জনপ্রিয় ট্যুর প্যাকেজে শতভাগ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকবে বিশেষ স্মারক ফটোফ্রেম ও স্যুভেনির, যা এই অভিজ্ঞতাকে স্মরণীয় করে রাখবে অনেকদিন।
এই যাত্রা কেবল শুরু—তুমি কি তৈরি তোমার জ্ঞান, দক্ষতা আর ভালোবাসা দিয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে চিনে নিতে? তাহলে আজই যুক্ত হও National Tourism Olympiad-এ, কারণ এবার ইতিহাস তোমার হাতেই লেখা হবে!
জিতে নাও ৩ লক্ষ+ টাকার প্রাইজপুল
বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনার দেশ। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহাসিক নিদর্শন, জাতিগত বৈচিত্র্য এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতি একে পর্যটনের এক বিস্ময়কর ভুবনে পরিণত করেছে। অথচ পর্যটন শিল্প এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে তার পূর্ণ অবদান রাখতে পারেনি। এই অবস্থার পরিবর্তন আনতেই "জাতীয় পর্যটন অলিম্পিয়াড" আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা সামনে এসেছে—যেখানে দেশের শিক্ষার্থীরা পর্যটন ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানবে, আগ্রহী হবে এবং একদিন এ ক্ষেত্রের নেতৃত্বে এগিয়ে আসবে।
জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (UNWTO)'র তথ্য অনুযায়ী, পর্যটন বর্তমানে বিশ্বের মোট GDP-এর প্রায় ১০% অবদান রাখছে এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৩০০ কোটি মানুষকে কর্মসংস্থানের সুযোগ দিচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে পর্যটন শিল্প GDP-এর ৯.২% এবং প্রায় ৪.২ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। সেখানে বাংলাদেশের অবদান মাত্র ৪.৪% (WTTC, 2023)। অথচ বাংলাদেশে রয়েছে ৩টি UNESCO World Heritage Site, শতাধিক পর্যটন গন্তব্য এবং প্রায় ৫০টি জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য—যেগুলো সঠিকভাবে প্রচারিত ও রক্ষণাবেক্ষিত হলে দেশীয় ও বৈদেশিক পর্যটকদের বড় একটি অংশ আকর্ষণ করা সম্ভব।
তবে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে প্রয়োজন মানবসম্পদ উন্নয়ন, পর্যটন জ্ঞানচর্চা এবং সাংস্কৃতিক সচেতনতা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে পর্যটনকে অন্তর্ভুক্ত করা এখন সময়ের দাবি। জাতীয় পর্যটন অলিম্পিয়াড সেই চর্চার একটি সূচনা বিন্দু। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, ঐতিহাসিক নিদর্শন, জাতিগত বৈচিত্র্য ও বিশ্ব পর্যটনের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানবে এবং পর্যটনের উন্নয়নে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারবে।
বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ এই জাতীয় পর্যায়ের অলিম্পিয়াডের আয়োজন করে থাকে। যেমন: India's Tourism Quiz Olympiad, China’s Youth Heritage Awareness Competition, UNESCO World Heritage Education Programme; এই উদ্যোগগুলো কেবলমাত্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান বাড়ানোর জন্য নয়, বরং সচেতন নাগরিক তৈরির মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে।
বাংলাদেশে শিক্ষার্থীরা এখনও পর্যন্ত পর্যটনকে মূল ধারার পেশা বা পড়াশোনার বিষয় হিসেবে চিন্তা করে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, পর্যটন এখন একটি পূর্ণাঙ্গ শিল্প—যেখানে রয়েছে ম্যানেজমেন্ট, হসপিটালিটি, গাইডিং, ডেস্টিনেশন ব্র্যান্ডিং, ইকো-ট্যুরিজম, ট্রাভেল জার্নালিজম সহ বিভিন্ন সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার অপশন। অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে সেই আগ্রহ সৃষ্টি করাই এই উদ্যোগের প্রধান উদ্দেশ্য।
অন্যদিকে, একটি দেশের পর্যটন শিল্প শুধু ভ্রমণ নয়; এটি পরিচিতি, কূটনীতি ও সংস্কৃতির বাহক। বিশ্ব আজ সফট পাওয়ারের যুগে — যেখানে সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও পরিবেশ-সচেতন পর্যটন দেশের সম্মান ও অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশের পর্যটনকে যদি ভবিষ্যতের তরুণেরা বুঝে ও ভালোবাসে, তাহলে দেশও এগিয়ে যাবে।
তাই জাতীয় পর্যটন অলিম্পিয়াড শুধুমাত্র একটি প্রতিযোগিতা নয় — এটি একটি জ্ঞান, চেতনা ও দায়িত্ববোধের আন্দোলন। এটি একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের কাছে পর্যটনের বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্যকে তুলে ধরবে, তেমনি তাদের মধ্যে দেশের প্রতি ভালোবাসা ও সংরক্ষণ মনোভাব জাগিয়ে তুলবে।
বাছাই পর্বে থাকবে তিনটি রাউন্ড। প্রত্যেক রাউন্ডে উত্তির্নদের জন্য থাকবে দারুণ সব পুরষ্কার। বিস্তারিত জানতে নির্দেশিকা পড়ো...
অংশগ্রহণ নির্দেশিকা
চুড়ান্ত পর্ব আয়োজিত হবে সরাসরি ভেন্যুতে। এই পর্বের শেষ দুটি রাউন্ডে উত্তীর্ন সকলকে নিয়ে কক্সবাজার এ প্রিমিয়াম ট্যুরের আয়োজন করা হবে। প্রত্যেক প্রতিযোগীর সাথে যেতে পারবে আরো একজন অভিভাবক। এছাড়া প্রাইজমানি ও অন্যান্য পুরষ্কার তো থাকছেই। বিস্তারিত জানতে পড়ো...
অংশগ্রহণ নির্দেশিকা
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন → Frequently Asked Questions (FAQs)
ক্যাম্পাস/ডিস্ট্রিক্ট এম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত হও → Representative Application
অভিযোগ, পরামর্শ ও জিজ্ঞাসা → Contact Us
যোগাযোগ
প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন-
১২ আইনুসবাগ, দক্ষিনখান, ঢাকা - ১২৩০
📧 Email: nto.visitbangla@gmail.com
📞 ফোন: 01600891233
📱 ফেসবুক: fb/national tourism Olympiad
🌐 Website: www.tourismolympiad.bd